ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভের একটি গ্রামে রাশিয়ার হামলায় ছয় বছরের শিশুসহ ৫১ জন নিহত হয়েছে। ইউক্রেনীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এদিকে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করে বলেছেন, এ হামলায় অন্তত ৪৮ জন নিহত হয়েছে।
দোকানে এই হামলাকে রাশিয়ার ‘বর্বরোচিত অপরাধ’ বলে বর্ণনা করেছেন জেলেনস্কি। মস্কো ‘গণহত্যামূলক আগ্রাসন’ চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
খারকিভের গভর্নর ওলেহ টেলিগ্রামে জানান, গ্রামের একটি ক্যাফেতেও হামলা হয়েছে। হামলার সময় মুদি দোকান এবং ক্যাফেতে প্রচুর মানুষ ছিল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহোর ক্লিমেঙ্কো বলেছেন, শ্রদ্ধা জানানোর জন্য একটি ক্যাফেতে প্রায় ৩৩০ জন মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। এই সময় হামলা হয়। গ্রামের সব পরিবার ও বাড়ি থেকে মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। হামলার পর সাতজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বিমান প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করতে পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাশিয়ার কার্যক্রমকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে তা বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন।
রুশ বাহিনী গ্রামটিতে গোলা নাকি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট জানা যায়নি।
২০২২ সালে ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই খারকিভ অঞ্চলটি লড়াইয়ের ফ্রন্টলাইনে আছে। কুপিয়ানস্কের অবস্থান পূর্বদিকে এবং এটি রুশ বাহিনীর জন্য প্রধান একটি সরবরাহ কেন্দ্র। গতবছরের সেপ্টেম্বরে কিইভ কয়েকমাসের লড়াইয়ের পর খারকিভের কিছু অংশ পুনরুদ্ধারের দাবি করেছিল।